করোনা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য ভেদ-বিচার করতে চান না মমতা

করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য ভেদ-বিচার করতে চান না ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভাগাভাগির প্রয়োজন নেই। আমরা একটাই পরিবার। ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বার্থে যা করার করব।

শুক্রবার (৬ মার্চ) মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলির সচিব, কেন্দ্রের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং সব জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে এ কথা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

করোনা-বৈঠকে রাজ্যে উপস্থিত সব কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তাদেরও শামিল করা হয়। পরে কর্তাদের নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে আরও এক দফা আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি জানান, সীমান্ত ও বন্দরে এক লক্ষ ৪২ হাজারের বেশি মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে রাজ্য প্রশাসন। সংক্রমণ হয়নি কারও। স্বাস্থ্যপরীক্ষা চলবে। সব মেডিক্যাল কলেজ, সরকারি সুপার স্পেশ্যালিটি, জেলা ও মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড গড়া হয়েছে।

করোনা-তথ্য জানাতে দু’টি নম্বর ঘোষণা করেছেন মমতা। তিনি বলেন, এক ঘণ্টা অন্তর হাত পরিষ্কার করুন। হাঁচিকাশি হলে তা নির্দিষ্ট উপায়ে নাকমুখ আড়াল করুন। পুরসভা, পঞ্চায়েতে নির্দেশ গিয়েছে। কুইক রেসপন্স টিম তৈরি হয়েছে সব জেলা হাসপাতালে। আতঙ্কিত হবেন না।

চিন থেকে অনেক ওষুধ এবং চিকিৎসা-সামগ্রী আসছে না। বৈঠকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইবি) প্রতিনিধিকে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি, বঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামের জোগান স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্র যেন সহযোগিতা করে। মুখ্যমন্ত্রীও কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানান।

মমতা বলেন, বেআইনি মজুত করলে সব তুলে নেব। দরকারে আমরা তা বিলি করব। অসৎ উপায়ে যারা এটা নিয়ে ব্যবসা করছে, তাদের তা করতে দেব না। মাস্ক এবং ওষুধের দাম যাতে না-বাড়ে, সে-দিকে পুলিশ ও এনফোর্সমেন্টকে নজর দিতে বলা হয়েছে।

ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তারা ওষুধ ডিলার সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, মাস্ক ও গ্লাভসের জন্য বাড়তি দাম নিলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বেশ কয়েকটি দোকানে হানা দেয় কলকাতা পুলিশ।

আপনি আরও পড়তে পারেন